আজ || শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম :
 


পাটিগণিতের সূত্র উদ্ভাবন ১০ সেকেন্ডেই অংকের উত্তর!!

পাটিগণিতের সূত্র উদ্ভাবন
১০ সেকেন্ডেই অংকের উত্তর!!
খুলনা পাইকগাছার কৃতি সন্তান অসীম কুমার সরকার(সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার।

সূদীর্ঘ সাড়ে তিন বছর (২০০৬ মার্চ হতে ২০০৯ অক্টোবর) গবেষণা করে গণিত ইতিহাসে
প্রথম সামগ্রিকভাবে পাটিগণিতের সূত্র উদ্ভাবন করেছেন। তাঁর উদ্ভাবিত মেথডের নাম এম. আর মেথড বা
ম্যাজিক রুল মেথড। ফলে পাটিগণিত অংক(সমস্যাবলী) অধিক চিন্তা করে, অধিক মেধা ও সময় নষ্ট করে
লাইনের পর লাইন লিখে বিষদাকারে করার পর উত্তর বের করার কঠিন পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে
পাটিগণিত মাত্র ১০ সেকেন্ডে উত্তর করার বিস্ময়কর কৌশল অর্জন করবে শিক্ষার্থী বা পাঠকেরা। শুধু তাই
নয়, শিক্ষার্থীদের অধিক সূত্র মনে রাখার কষ্টকে লাঘব করতে ২০১৫ সালের এপ্রিলে আবিষ্কার করেন এম.
আর মেথডের মাস্টার রুল। যে সূত্রটিকে তিনি পাটিগণিতের সর্বশ্রেষ্ঠ রুল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এই
একটি মাত্র সূত্রের সাহায্যে এই প্রথম শতকরা, ঐকিক, অনুপাত সহ বিভিন্ন নিয়মের শত শত
অংককে(গাণিতিক সমস্যাবলী) সমাধান করা সম্ভব। তাও ৫/৭ সেকেন্ড বা মুহুর্থের মধ্যেই। আর এজন্যই
তাঁর এ মেথডের নাম এম. আর মেথড অর্থাৎ ম্যাজিক রুল মেথড। তাঁর দাবী, এম. আর মেথডই গণিত
ইতিহাসে পাটিগণিতের সর্বাধিক সহজ, সংক্ষিপ্ত ও সজ্জিত একটি মেথড। গাণিতিক সমস্যার ভাষাগত
পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন নিয়মের অংক জেনারেল মেথডে বিভিন্ন নিয়মে করা লাগলেও এম. আর মেথডে
তা এক সূত্রে সমাধান করে। ফলে শিক্ষার্থীদের যেখানে ৫০টি অংক জেনারেল মেথডে মনে রাখতে হিম
শিম খেতে হয় সেখানে এম. আর মেথড নিয়মে ৫০ শত অংক মনে রাখা সাধারণ ব্যাপার হবে। তাছাড়া
শিক্ষার্থীদের মতে গণিত একটি রসহীন সাবজেক্ট, তাই একে রসময়ী করার জন্য ছন্দ, কবিতা ও গল্পের
সাহায্যে অংক করার কৌশল আবদ্ধ করেছি। ফলে এ মেথড রিটেন পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠিত তথা স্বীকৃতি পেলে
শিক্ষার্থীদের মন থেকে অংক ভীতি দূর করে পাটিগণিত শিক্ষার প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি করবে। এম. আর
মেথডের মূল কথা হলো –“বাদ দিন তো লেখালেখি , আসুন মুখে মুখে অংক শিখি” আশাকরি এম. আর
মেথড হাতে পেলে আমার এ স্বপ্ন শিক্ষার্থীরা পুরণ করতে পারবে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সত্যিকার
মেধা বিকশিত করার মূলমন্ত্র হলো পাটিগণিত। অতি দুঃখের সাথে বলতে হয়, জীবনের সকল হিসাব
নিকাশের ক্ষেত্রে পাটিগণিতের ব্যবহার অপরিহার্য। অথচ পাটিগণিত শেখার মূল স্তর অর্থাৎ মাধ্যমিক
পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তক গুলোতে পাটিগণিত আজ বিলুপ্তির পথে। আর যা আন্তর্ভুক্ত আছে তারও কোনো
ধারাবাহিকতা নাই। তিনি আরও বলেন যদি সুযোগ পাই তবে মাধ্যমিক লেবেলে একটি সর্বাধিক সহজ,
সজ্জিত ও শিক্ষার্থী বান্ধব গণিত পাঠ্যপুস্তক(পাটিগণিত অংশ) উপহার দেব।
জগতে আবিষ্কারকের শেষ নোই। তাঁেদর তুলনায় আমি অতি ক্ষুদ্র । আমার এ মেথডটি সমালোচিত হোক,
মিডিয়ার মাধ্যমে দেশ ও বহির্বিশ্ব জানুক এটাই আমার প্রত্যাশা। আমার বিশ্বাস আমার এই এম. আর
মেথড তথা পাটিগণিত সূত্রের পান্ডুলিপি শুধু দেশ নয় বহির্বিশ্ব হতেও অনেক সুনাম বয়ে আনবে। তিনি
আরও বলেন, আমার এ মেথডটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা
জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দিতে চাই। এজন্য আমি তাঁর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
তাঁর লিখিত ও প্রকাশিত বই সমূহ- পাটিগণিত সূত্রের পা-ুলিপি; এম. আর মেথড গণিত; ছন্দে ছন্দে বাংলা
সাহিত্য ও ব্যাকরণ; ছোটদের এম. আর মেথড(সপ্তম, অষ্টম, নবম-দশম); ম্যাজিক ম্যাথ(চতুর্থ শ্রেণি),
ম্যাজিক ম্যাথ(পঞ্চম শ্রেণি)।
অসীম কুমার সরকার খুলনা জেলার পাইকাগাছা উপজেলার খড়িয়া ঢেমশাখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর
পিতার নাম শ্রী নকুল চন্দ্র সরকার। আবিষ্কারের পর থেকেই তার এই এম. আর মেথড নিয়ে তিনি বহু স্কুল,
কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার, সভা করে আসছেন। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু গণিতবিদও এ
মেথডের সুনাম করেছেন এবং সীকৃতি দিয়েছেন। এছাড়া সারা দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের কাছে এ মেথডটি
খুই জনপ্রিয়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী এ মেথডকে আলাউদ্দিনের আচার্য প্রদীপ বলে আখ্যায়িত করেছে। সবশেষে এটুকুই বলব কথা নয় কাজে পরিচয়। তাই দেরি না করে একটি এম আর মেথড বই পড়ে গণিতের রহস্য জেনে নিন।
অসীম কুমার সরকার
সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার
তালা,সাতক্ষীরা।


Top